
আমার লিখিত তিনটি চাকমা গান ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা।
বিগত শতকের সত্তর পরবর্তী সপ্ত দশকে চাকমা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প ও সঙ্গীতে প্রথম বারের মত জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এ সময় নতুন প্রজন্ম তারুণ্যের উদ্দীপনায় সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠে।
ঐ সময় স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র নতুন নতুন কর্ম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। সমাজ জীবনে সৃষ্টি হয়েছিলো নতুন নতুন চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও জীবনবোধের।
পার্বত্য চট্রগ্রামের তরুণ সমাজও নতুন চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। চাকমা সমাজের এই নব জাগরণের যুগে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নতুন ধারার সৃষ্টি করে তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
প্রথমে ১৯৭২ সালে রাঙ্গামাটি শহরে উল্লেখ্যযোগ্য তিনটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জন্ম লাভ করে। এগুলি হলো যথাক্রমে জুমিয়া ভাষা প্রচার দপ্তর (জুভাপ্রদ), মুড়োল্যা সাহিত্য ও সাংস্কৃতি গোষ্ঠী এবং গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠী।
তাদের পরেও আরো কয়েকটি সংগঠন রাঙ্গামাটিতে জন্ম লাভ করেছিল। সেগুলি হলো জাগরণী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, রাধামন সাহিত্য গোষ্ঠী, ফ্রেন্ডস লিটারেচার গ্রুপ, উন্মাদ শিল্পী গোষ্ঠী (বর্তমানে এর পরিবর্তিত নাম গেংখুলী শিল্পী গোষ্ঠী) ইত্যাদি।
১৯৭২ সালে বিঝু উৎসবের সময় জুভাপ্রদের প্রথম সংকলনের নাম ছিল ‘বিঝু’ এবং মুড়োল্যা সাহিত্য ও সাংস্কৃতি গোষ্ঠীর প্রথম সংকলনের নাম ছিল ‘লুরা’।
এ দুইটি বিঝু সংকলনই ঐ সময় এতদঞ্চলে বিঝু উৎসবের সময় লিটন ম্যাগাজিন প্রকাশের ধারার সৃষ্টি করেছিল এবং এই ধারাটি এখন ক্রমশঃ বিকাশ লাভ করেছে।
১৯৭৪ সালে গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠী কয়েকজন উপজাতীয় গীতিকার কর্তৃক চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষার রচিত কিছু সংখ্যক আধুনিক উপজাতীয় গান নিয়ে তাদের প্রথম গানের সংকলন ‘শিঙগা’ প্রকাশ করে।
এর ফলে এ সকল সংকলনগুলিতে তাদের লেখা প্রকাশের মাধ্যমে প্রথম বারের মত বহু সংখ্যক উপজাতীয় তরুণ কবি, গীতিকার ও সাহিত্যিক তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন।
চাকমা সাহিত্যে আমার আগমনের সময়টা ছিল ১৯৭০ সালে। ঐ বছরই ১২ টি শিশুতোষ চাকমা কবিতা নিয়ে রাঙ্গামাটিতে প্রকাশিত হয় আমার ছোট কবিতা বই ‘রাঙামাত্যা’।
চাকমা ভাষার এটিই ছিল এ জাতীয় প্রথম আধুনিক চাকমা কবিতার বই। প্রকৃত পক্ষে ‘রাঙামাত্যা’ কবিতা বইটিই চাকমা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশের ক্ষেত্রে অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বারকে প্রথম বারের মত উন্মুক্ত করেছিল।
এ সময় আমি চাকমা ভাষার গানও রচনা শুরু করি। পার্বত্য চট্রগ্রামের নৈসর্গিক প্রকৃতি, জুম-জীবন ও পাহাড়িয়া তরুণীর অপরূপ সোন্দর্য্য ও অনাবিল আনন্দ নিয়ে আমার রচিত প্রথম দিকের একটি চাকমা গান হলো ‘হিল্ল মিলাবুয়া জুমত যায়-দে’; যার বঙ্গার্থ দাঁড়ায় ‘পাহাড়ী মেয়েটি জুমে চলছে’।
‘শিঙগা’ সংকলনে এটি প্রথম যখন প্রকাশিত হয় তখন তাতে গানটির রচনা কালের সময় লিপিবদ্ধ ছিল ১৯৭২ ইং।
উল্লেখ্য যে, ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত আমার কৈশোর ও তারুণ্যের দিনগুলি কেটেছিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি নামক একটি ছোট পাহাড়িয়া নদীর তীরে মহাজন পাড়া গ্রামে।
সুগত চাকমা ননাধনঐ সময় পাহাড়িয়া নদী চেংগীর উপত্যকা অজস্র পাহাড়ে, পর্বতে, জুমে ও পাহাড়িয়া গ্রামে আমার ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল।
তাই এ গানে অবহমান কালের জুমিয়া জীবনের সুখ-দুঃখ ও আশা-আনন্দের কথা এসেছে। এবার গানটি নীচে প্রদান করা হলো-
হিল্ল মিলাবুয়া জুমত যায়দে(২)
কাল্লোঙ পিধিত তাগল হাদত
জুমত যায় দে তে
জুমত যায় দে।।
যাদে যাদে পধত্তুন পিচ্ছে ফিরি চায়
সোঝ্য ফুলুন খেদত দেঘি
বুক্কুয়া জুরায় তার
বুক্কুয়া জুরায়
মনত সুখ লইনে তে উরি উরি হাদে-দে
(জুমত যায় দে)।।
নুয়া জুমত ধান’ কদাত পিবির পিবির বুইয়ার বায়
চিগোন পেক্কুন ঘুত্যাত বইনে ধান পাগানা খান
হিল্ল মিলাবুয়া বাদোল মারি
চিগোন পেক্কুন ধাবায়
মোন’ ঘরর ছাবাত বইনেই
উভোগীত গায়
বেলান গেলে সাঝন্যা হলে
ঘরত ফিরেদে তে
ঘরত ফিরে দে
(জুমত যায় দে)।।
পরবর্তীকালে এই গানটির বঙ্গানুবাদও আমি করি। নীচে অনুবাদটি দেওয়া হলো।
পাহাড়ী মেয়েটি জুমে চলেছে(২)
সে জুমে চলেছে
জুমে চলেছে।।
যেতে যেতে মাঝ পথে পিছন ফিরে চায়
সর্ষে ফুল ক্ষেতে দেখে বুকটি জুড়ায় তার
বুকটি জুড়ায়
মনে সুখ লইয়া সে উড়ে উড়ে চলেছে
(সে জুমে চলেছে)।।
নুয়া জুমের ধানের ক্ষেতে ফিরফিরিয়ে বাতাস বয়
ছোট্ট পাখি খুঁটায় বসে ধান-পাকা যে খায়
পাহাড়ী মেয়ে ধনুক দিয়ে ছোট্ট পাখি তাড়ায়
টং ঘরের ছায়ায় বসে ‘উভাগীত’ গায়
বেলা গেলে সন্ধ্যা হলে-
ঘরে ফিরে সে ঘরে চলেছে।।
তৎকালীন বিশিষ্ট গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী মিঃ রঞ্জিত দেওয়ান এ গানটির সুরারোপ করেছিলেন।
ঐ সময় ‘হিল্লমিলাবুয়া জুমত যায় দে’ এবং রঞ্জিত দেওয়ান কতৃক রচিত ‘হোই হোই জুমত যেবং’ এবং দুইটি গান মিলিয়ে চাকমা তরুণ-তরুণীরা ‘চাকমা জুম নৃত্য’ –এর সৃষ্টি করেছিলেন।
তখন আমি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে ফিজিক্স সাবজেক্ট অর্নাস নিয়ে বি.এস.সি ক্লাশে পড়ালেখা করেছিলাম।
তাই সেখান থেকে একবার রাঙ্গামাটিতে আসার পর যখন রাঙ্গামাটিস্থ আর্টস কাউন্সিল ভাবনে (বর্তমানে যেখানে রাঙ্গামাটি গার্লস হাইস্কুল রয়েছে সে স্থানটিতে) চাকমা জুম নৃত্যটিকে প্রথম বার দেখি তখন দারুণ আনন্দে অভিভূত হয়েছিলাম।
আমার শৈশবের কলেজ জীবনের সহপাঠিনী ঝর্ণা চাকমা (ধক্ক, বর্তমানে ঝর্ণা রায়) চাকমা জুম নৃত্যরুপ প্রদানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সম্ভবতঃ ১৯৭৫/১৯৭৬ সালের দিকে কবি দীপংকর শ্রীজ্ঞান চাকমা ‘হিল্ল মিল্লাবুয়া জুমত যায় দে’ গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
তাঁর অনুবাদটির শুরুটা ছিল এভাবে The highland lass goes to jhum/The hill girl goes to jhum. তিনি আমার রচিত আরও একটি গান ‘রেত্তুয়া জনম্মুয়া ন থেব’- গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
এ দুটি গানের ইংরেজি বর্ণনাকরণ এবং অনুবাদ আমার নিকট থেকে বিশিষ্ট লেখক মরহুম জনাব আব্দুস সাত্তার গ্রহণ করে তাঁর লিখিত একটি ইংরেজি বইয়ের প্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৭৬ সাল থেকে চট্রগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে পার্বত্য চট্রগ্রামের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ‘পাহাড়িকা’ নামে একটি অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়।
তখন ‘পাহাড়িকা’ অনুষ্ঠানের সিগনেচার টিউব বা উদ্বোধনী মিউজিক হিসেবে ‘হিল্ল মিল্লাবুয়া জুমত যায় দে’ গানটির কয়েকটি লাইন প্রতি সপ্তাহে বাজানো হতো।
তবে এই গানটি নিয়ে সবচেয়ে অধিক সংখ্যক শিল্পী নৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর কক্সবাজারে।
সেখানে কক্সবাজার গার্লস হাইস্কুলের আড়াই শতাধিক ছাত্রী একবার একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে সেখানকার স্টেডিয়ামে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তখন ঘটনাক্রমে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আমি সপরিবারের কক্সবাজারে কর্মরত ছিলাম। ঐ স্কুলের এক বড়ুয়া শিক্ষিকা কিভাবে যেন সেটি আমার রচিত গান জানতে পেরে আমার সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের স্কুলে আমন্ত্রণ জানান।
তাঁদের আমন্ত্রণে আমি সাখানে গিয়েছিলাম। আমাকে নির্দিষ্ট দিনে ১২০ জনের মত ছাত্রী নানা বর্নাঢ্য পোশাকে পাহাড়ি মেয়ে সেজেকক্সবাজার স্টেডিয়ামে ‘হিল্ল মিল্লাবুয়া জুমত যায় দে’ গানের সুরে নেচে আকাশ বাতাস মাতিয়ে তুলেছিল।
সেই দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব ছিল। ১৯৭২ সালে আমার লিখিত আর একটি গানকে নিয়ে উপজাতীয় তরুণ শিল্পীরা নাচ কম্পোজ করেছিলেন।
সেটিও ‘শিঙগা’ সংকলনের ১৯৭৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। নীচে এই গানটিকে বঙ্গানুবাদ সহ প্রদান করা হলো-
রেত্তুয়া জনম্মুয়া ন থেব
রেত্তুয়া জনম্মুয়া ন থেব
বিন্যামায় বেলান উদিব
আমি-অ ঘুমত্তুন জাগিবং
আমি- অ ইক্কুয়া দিন উদিবং।।
দুঘদিন জনম্মুয়া ন থায়
সুঘ’ মু মুঝুঙে দেঘা যায়
ইচ্চ্যা তুমি বেক্কুনে জধা হ
সুঘ’ দিন আর কাঝেব
বেঘে সমারে কামত লাবিমং।।
বিন্যাম্যায় পেক্কুন ঘুমত্তুন জাগিবাক
দুয়া মেলি তারা আগাঝত উরিবাক
আমি-অ তারা লগে
মেঘে মেঘে উরিবং।।
গানটির অনুবাদ হলো-
এই রাত চিরদিন থাকবে না
ভোরে সূর্য উঠবে
আমরাও ঘুম থেকে জাগবো
আমরা একদিন উঠবো।।
দুঃখ দিন চির দিন থাকে না
সুখ দিন সম্মুখে আসছে
আজকে সবাই এক হও
সুখ দিন কাছে আসবে
সবাই একত্রে কাজে নামবো।।
ভোরে পাখিরা ঘুম থেকে জাগবে
ডানা মেলে তারা আকাশে উড়বে
আমরাও তাদের সাথে
মেঘে মেঘে উড়বো।।
কবি দিপংকর শ্রীজ্ঞান চাকমা এই গানটিও অনুবাদ করেছিলেন। তাঁর কর্তৃক অনুবাদকৃত প্রথম লাইনটি ছিল-
The night will not lost forever….
এটিও জনাব আব্দুস সাত্তার সাহেব তাঁর গ্রন্থে প্রকাশ করেছিলেন।
চাকমা গানের প্রথম গীটার সংযুক্ত হয়েছিল আমার রচিত রোমান্টিক গান ‘জুম্মবি কমলে হাদিবে ম’ধাঘত’ গানটিতে। এ লাইনে অনুবাদ হলো- ‘জুম্মবি কবে তুমি হাঁটবে মোর পাশেতে’।
১৯৭২ সালের দিকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সম্যে এটি আমি রচনা করি। জুভাপ্রদ কর্তৃক প্রকাশিত কোন একটি সংকলনেই এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো।
ঐ সময় সুইজারল্যান্ড থেকে মার্সেল আকেরমান এবং আইরিন নামে দু’জন ছাত্রছাত্রি রাঙ্গামাটি এসেছিলেন।
তাঁরা আমার সমবয়সী ছিলেন। আইরিন সুন্দরী এবং মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে ছিলেন। মার্সেল খুব ভালো গীটার বাজাতেন এবং দু’জনের খুব চমৎকার ভাবে ‘জুম্মবি কমলে হাদিবে ম’ধাঘত’ গানটি গাইতেন, ঐ সময় গানটি রচনার সাথে সাথেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
এমনকি একদিন রাঙ্গামাটিস্থ রাঙ্গাপানির ভেদভেদী গ্রামের কাছাকাছি এক নির্জন বনেও কোন যুবক আমার গান গেয়েছে তাকে সেদিন অনেক খুঁজেও দেখা পাইনি।
তবে অনেক দিন পরে এক গ্রাম্য চকমা যুবকের যখন এ গানটি গাইতে শুনি তখন সে একদল লোকের সাথে এক পাহাড়ের নীচে আনারস বাগানে কর্মরত ছিল।
সেদিন তার কণ্ঠ শুনে আমার মনে হয়েছিল হয়তো একদিন সেই ঐ বনেই ‘জুম্মবি কমলে হাদিবে ম’ধাঘত’ চাকমা গান গেয়েছিল। নীচে গানটিকে অনুবাদ সহ প্রদান করা হলো।
“জুম্মবি কমলে হাদিবে ম’ ধাঘত”
কমলে ত’ গাঙান মিঝিব ম’ গাঙত।।
কোনদিন দিজনে হাদি যেই বিজনে গাঝ’ ছাবাত বোই
দিন্নভুয়া কাদেবং চোজগে চোক রিনি চেই বানা কধা কোই
ছারি দিনে ত’ চুলান পোরি রবে ম’ বুগত।।
কোনদিন দিজনে এ দেঝত বানিবং আমি ঘর
সারারেত যদি ঝরে আগাঝর জুন’ পহর
সাগরর কোচপানা লইনে তুই থিয়েবে মুঝুঙত।।
বাংলা অনুবাদ
জুম্মবি কবে তুমি হাঁটবে মোর পাশেতে
কবে তোমার নদীটি মিশবে আমার নদীতে
কোনদিন দু’জনে হেঁটে গিয়ে বিজনে তরুছায়া বসবো
সারাদিন দু’জনে চোখে চোখ রেখে শুধু কথা বলবো
খুলে দিয়ে কবরী শুয়ে রবে বুকেতে।।
কোনদিন দু’জনে এ দেশে বাঁধবো একটি ছোট্ট ঘর
সারারাত যদি ঝরে আকাশে চাঁদনী কর
সাগরের ভালবাসা নিয়ে তুমি দাঁড়াবে সম্মুখে।
লেখক : সুগত চাকমা (ননাধন)
তথ্যসূত্র : শিঙোর – এপ্রিল ২০০১ইং