
এক গ্রামে বাস করত এক কৃষক। তার একটি পুত্র সন্তান ছিল। সন্তানের বয়স মাত্র দু’বছর। ঐ কৃষক সখ করে একটি বেজী পুষেছিল।
বেজীটি এতই পোষ মেনে গিয়েছিল যে, তার ছেলের সংগে খেলা করত, আশেপাশে ঘুরঘুর করে বেড়াত। দরিদ্র পরিবারে সন্তানের জন্য সুন্দর চিত্ত-বিনোদনের ব্যবস্থা।
একদিন কৃষক-কৃষাণী উভয়ই মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। মাঠ থেকে প্রথমে কৃষক বাড়ী ফিরে আসে।
উঠোনে পা ফেলতেই দেখতে পায়, তার সন্তানের মৃতদেহ, দেহের স্থানে স্থানে রক্ত। আর ওরই পাশে বেজীটি, ওর সারা দেহেও রক্ত, বিশেষ করে মুখে।
কৃষকটি ভাবল, “নিশ্চয় আমার সন্তানকে এই শয়তান বেজীটিই হত্যা করেছে।” শশাকে-ক্ষোভে কৃষক একটি লাঠি এনে বেজীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।
কিছুক্ষণ পরই উঠোনের অন্য প্রান্তে দেখতে পায়, বিরাট একটি বিষধর সাপ, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মরে পড়ে আছে।
কৃষকের সঠিক চৈতন্য ফিরে এলো। বুঝতে পারল, তার সন্তানকে সাপের ছোবল থেকে রক্ষা করতে বেজীটি সাপের সাথে লড়াই করেছিল।
বেজীটিই সাপটাকে কামড়াতে কামড়াতে মেরে ফেলেছিল। তখন অনুতপ্ত কৃষক বলতে লাগল, “আমি নির্দোষনিরাপরাধ বেজীটিকে মেরে ফেলেছি।
এখন আমার দুই-ই গেল — “সন্তানও গেল, বেজীওগেল।”
লেখকঃ মং চাই শৈ ম্যা